Business Idea : ভারতের নাগরিকদের মধ্যে দিনের পর দিন ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। দেশে চাকরির দুরবস্থা থেকেই মানুষের মনে বিগত দশকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে দেখা গেছে এক সমীক্ষায়। কিন্তু ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। কারণ ব্যবসা করার কথা ভেবে নেওয়া যায় অনায়াসে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে বর্তমানে ভালোরকম রোজগারের সুযোগ দিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা। একাধিক প্রাইভেট কোম্পানি যেমন নিজেদের ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার অনুমতি দিয়ে থাকে, তেমনই আবার ভারতীয় ডাকবিভাগের তরফেও এমন ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর এই সুযোগ রয়েছে সকলের জন্যই। তাই আপনি চাইলেই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি ভালোরকম রোজগারের সুযোগ লুফে নিতে পারবেন। এখন একনজরে দেখে নিন কিভাবে ভারতীয় ডাকবিভাগের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা শুরু করে লাভের মুখ দেখতে পারবেন আপনি।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা
ভারতীয় ডাকবিভাগ এখন প্রত্যেককে নিজের দায়িত্বে পোস্ট অফিস খোলার সুযোগ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে দুই ধরনের ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের। এর মধ্যে একটি হল ফ্রাঞ্চাইজি আউটলেটের এবং অন্যটি হল ফ্রাঞ্চাইজি পোস্টাল এজেন্ট ফ্রাঞ্চইজি। এই দুই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনিও। এর থেকে ভালো টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে।
পোস্ট অফিসের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার শর্ত
● আবেদনকারীর নামে কমপক্ষে ২০০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে।
● আবেদনকারীর নূন্যতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর।
● ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার ফি হিসেবে দিতে হবে ৫,০০০ টাকা।
● আবেদনকারীকে নূন্যতম অষ্টম পাশ হতে হবে।
● আবেদনকারী বা তার পরিবারের কাউকে ভারতীয় ডাকবিভাগে চাকরি করা চলবে না।
কিভাবে আবেদন করতে পারবেন?
অনলাইনে ডাকবিভাগের ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই ভারতীয় ডাকবিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কে – https://www.indiapost.gov.in/VAS/DOP_PDFFiles/Franchise.pdf যেতে হবে। সব বিস্তারিত তথ্য এখানেই পেয়ে যাবেন।
এই ব্যবসা থেকে কিভাবে রোজগার করতে পারবেন?
মূলত কমিশনের মাধ্যমে রোজগার করা যায় ভারতীয় ডাকবিভাগের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসায়। এক্ষেত্রে সব কাজের আলাদা আলাদা কমিশন স্কেল রয়েছে। যেমন, প্রতিটি স্পিড পোস্টের জন্য ৫ টাকা, প্রতিটি মানি অর্ডারের জন্য ৩ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং স্টেশনারির জন্য ৫% করে কমিশন পাওয়া যাবে।