শত চেষ্টা করেও পারলো না পাকিস্তান। ফের বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ভারতের কাছে হারতে হল বাবর আজম, শাহীন আফ্রিদিদের। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অঘটনের শিকার হয় পাক ক্রিকেট দল। তারপে ভারতের কাছেও নতিস্বীকার করতে হল পাকিস্তানকে। বুমরাহর বোলিংয়ের দাপটে দুর্দান্ত কামব্যাক করে হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ‘বাজিগর’ হলেন ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়রা। শেষ কয়েকটি ওভারে যেন দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। যে পিচের সাহায্যে ভারতের মিডল-অর্ডারকে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন আমির, নাসিম, হ্যারিসরা, সেই পিচই যেন বুমেরাং হয়ে ভেঙে ফেললো পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন। ফলে আরো একবার রেকর্ডে নাম উঠলো টিম ইন্ডিয়ার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরবিবার বিশ্বকাপের এই ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচের আগে বৃষ্টির কারণে খেলা পিছিয়ে যায় এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য। বৃষ্টি থামলে টস হয়, আর টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক-অধিনায়ক বাবর আজম। এক ওভার হওয়ার পর ফের বৃষ্টি নামে। আর তার পরেই ম্যাচের রং বদলে যায়। ভারতীয় ব্যাটিংকে সুইংয়ে নাজেহাল করে দেন আমির, নাসিম, রউফরা। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস থামে মাত্র ১১৯ রানে। তবে এই ছোট্ট টোটাল ডিফেন্ড করতে শুরু থেকেই চাপ বাড়াচ্ছিলেন ভারতের বোলাররা। বাবর, ফখর জামান, উসমানদের ফিরিয়েও দেন বুমরা, হার্দিকরা। সঙ্গে যোগ্য ভূমিকা পালন করেন সিরাজ, অর্শদীপ, অক্ষর ও জাদেজা। শেষ পর্যন্ত ৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। দেখিয়ে দিল ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’।
পাকিস্তানের হারের কারণ খুঁজলেন প্রাক্তন পাক-অধিনায়ক
ম্যাচ শেষের পর পাকিস্তানের মোহ-ভঙ্গ মিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হার কোনো নতুন বিষয় না হলেও পাকিস্তানের বিধ্বংসী বোলিং-অ্যাটাক নিউ ইয়র্কের পিচে কিছুটা এগিয়ে রেখেছিল পাকিস্তানকে। তবে ছোট টোটাল তাড়া করতেই অসমর্থ হল পাক-ব্যাটসম্যানরা। তাই এই হারের কারণ হিসেবে প্রাক্তন পাক-অধিনায়ক সেলিম মালিক দাবি করছেন অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমের মন্থর ব্যাটিংয়কে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আপনি যদি তার (ওয়াসিম) ইনিংস দেখেন, তাহলে মনে হবে সে রান করার পরিবর্তে বল নষ্ট করছে এবং লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলছে।”
শোয়েব আখতার ও শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তানের হার নিয়ে যা বললেন
একইভাবে পাকিস্তানের এই হারের জন্য দল ও টিম ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেন, “আপনি যখন হতাশ ও কষ্ট পান তখন পোস্ট করা স্বাভাবিক। পুরো দেশ হতাশ। মনোবল তলানিতে। যে করেই হোক জয়ের ইচ্ছেটা দেখাতে হবে। পাকিস্তান কি সুপার এইটে থাকার যোগ্য নয়? ঈশ্বর জানেন।” যদিও প্রাক্তন পাক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি এর জন্য দলের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “একজন অধিনায়ক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলে। হয় সে দলকে ধ্বংস করে দেয়, নয়তো আরও ভালো করে। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাক, তারপর মন খুলে কথা বলব। শাহিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন যে আমি যদি তার সম্পর্কে কথা বলি, লোকে বলবে আমি আমার জামাইয়ের পক্ষ নিচ্ছি।”