প্রাচীনকাল থেকেই অনেক নামজাদা ভারতীয় শিল্পী গান গেয়েই ভুবন ভরিয়েছেন। বিশ্বজোড়া খ্যাতিও লাভ করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কিশোর কুমার, মহম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলের নাম সর্বজনবিদিত। আর বর্তমান প্রজন্মের এমনই এক শিল্পী হলেন অলকা ইয়াগণিক। বিগত দশক থেকেই এই শিল্পীর মধুর কণ্ঠে মাতোয়ারা হয়েছেন আপামর শ্রোতাকূল। অনেক বিখ্যাত পুরুষ গায়কদের সাথে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। তবে এই মধুরকণ্ঠী গায়িকা এবার গড়লেন নতুন রেকর্ড।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকলকাতায় জন্মগ্রহণ করা এই গায়িকা অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন। তবে বাংলা ও হিন্দিতে তার গানে মাতোয়ারা হয়েছে গোটা দেশ। তবে এবার এই শিল্পী নিজে এমন এক খবর দিলেন, যাতে ভক্ত থেকে সহশিল্পী এমনকি গোটা শিল্প জগতের মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ অলকা এবার নিজের এক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। এক বিরল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন গায়িকা। এর ফলে চিরদিনের মতো শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। আর নিজেই তিনি এই খবর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিরল রোগ নিয়ে কি জানিয়েছেন অলকা ইয়াগণিক?
একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গায়িকা লেখেন, ‘আমার সমস্ত ভক্ত, বন্ধু, অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। কয়েক সপ্তাহ আগে, আমি যখন একটি ফ্লাইট থেকে নামছিলাম, তখন হঠাৎ অনুভব করলাম যে আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। এই পর্বের কয়েক সপ্তাহ পর, আমি এখন আমার সমস্ত বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য এই পোস্ট। যারা জানতে চায় কেন আমি অ্য়াকশনে অনুপস্থিত।’ নিজের শরীরের আরও আপডেট দিয়ে অলকা লেখেন, ‘ভাইরাল আক্রমণের কারণে এটি একটি বিরল সংবেদনশীল স্নায়ুর সমস্যা। যার কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস রেয়েছে। এই আকস্মিক, বড় ধাক্কা আমার অজান্তেই শরীরে গ্রাস করেছে। আমি এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। দয়া করে আপনারা আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।’
সহশিল্পীর অসুস্থতার খবরে সোনু নিগম কি বলেছেন?
একসময় বলিউড কাঁপিয়েছে সোনু নিগম ও অলকা ইয়াগণিকের ডুয়েট। সেই সময় দুজনেই কেরিয়ারের গোল্ডেন পিরিয়ডে ছিলেন। তাই সহশিল্পীর এই অসুস্থতার খবরে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি গায়ক সোনু নিগম। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনেই হয়েছিল সব ঠিক নেই। ফিরেই তোমার সঙ্গে দেখা করব। দ্রুত সেরে ওঠো।’
কোন স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন গায়িকা?
আসলে অলকা ইয়াগণিক আক্রান্ত হয়েছেন Sensorineural Deafness রোগে। কানের অভ্যন্তরীণ ভাগ থেকে যে অডিটরি নার্ভ কান মস্তিষ্ক পর্যন্ত গিয়েছে, সেই নার্ভ নষ্ট হওয়ায় এই বিরল রোগ সৃষ্টি হয়। এই রোগ হলে দ্রুত শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। একসময় এমন অবস্থায় সৃষ্টি হয় যে আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি বধির হয়ে যেতে পারেন।
View this post on Instagram