জুন মাসকে বিপর্যয়ের মাস বললেও বোধহয় খুব একটা ভুল কিছু হবেনা। কারণ এই মাসে প্রত্যেক বছর একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। যেভাবে গতবছরের পর এই বছরের জুনেও ঘটে গেল ভয়াবহ একটি রেল দুর্ঘটনা। আর এবার সেতু বিপর্যয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ২০২৪-এ। গত বছর এই জুন মাসেই বিহারের ভাগলপুর জেলায় গঙ্গা নদীর উপর অগুয়ান্তি-সুলতানগঞ্জ ব্রিজটি নির্মীয়মান অবস্থায় ভেঙে পড়ে। ব্রিজের তিনটি স্তম্ভ একের পর এক ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। আর এই বছর ঠিক একই মাসে বিহারে ঘটল আরেকটি ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএবার ব্রিজ বিপর্যয়ের ঘটনাটি ঘটল বিহার রাজ্যের আরারিয়া জেলায় অবস্থিত জেলার সিকটি এলাকার পড়রিয়ায়। এই এলাকা দিয়েই বয়ে গেছে বকরা নদী। এই নদী পেরিয়ে যাতায়াত মুশকিল হত বর্ষাকালে। এলাকাবাসীদের অনেক ঘুরপথে নদীর অন্য পাড়ে পৌঁছাতে হত। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বকরা নদীর উপর সেতু নির্মাণের অপেক্ষায় ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। আর সিকটি এবং কুর্সাকাটা এই দুই এলাকাকে সংযোগ করতে এই সেতুর নির্মাণ শুরু হয় কয়েকবছর আগে। তবে উদ্বোধনের আগেই সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নদীর জলে।
ভেঙে পড়লো সেতু, ভাইরাল হল ভিডিও
মঙ্গলবার দুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আরারিয়া জেলায় অবস্থিত বকরা নদীর উপর নির্মীয়মান ব্রিজটি। জানা গেছে, ১২ কোটি টাকা খরচ করে এই সেতুটির নির্মাণ করা হচ্ছিল। তবে নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ল সেতুটি। জানা গেছে, কিছুদিন আগেই স্থানীয় বিধায়ক বিজয় কুমার মণ্ডল এই ব্রিজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বর্ষার আগেই নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। ব্রিজ ভেঙে পড়ার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন স্থানীয় মানুষজন। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
बिहार के अररिया में नदी के ऊपर बना पुल उदघाटन से पहले ही गिर गया !! pic.twitter.com/yi21P9OICF
— Sachin Gupta (@SachinGuptaUP) June 18, 2024
সেতু বিপর্যয় নিয়ে প্রশাসনের বক্তব্য
● এই সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বিধায়ক বিজয় কুমার মণ্ডল বলেন, “ঠিকাদার রাতে চুপি চুপি ব্রিজ নির্মাণের কাজ করছিল। সঠিক পদ্ধতিতে নির্মাণ সম্পন্ন হলে এমন বিপদ হত না।”
● এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিকটি এলাকার কোয়াখো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ কুমার যাদব বলেন, “ব্রিজের নির্মাণকাজে দুর্নীতি হয়েছে। সঠিক গুণমানের না হওয়ায় বর্ষার আগেই এটি ভেঙে পড়ল। এত এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করা হয় অথচ সেগুলি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তবুও কারও বিরুদ্ধে তদন্ত হয় না। সে কারণেই ঠিকাদারদের সাহস বেড়ে গিয়েছে।”