এই সপ্তাহের শুরুটা হয়েছিল রেল দুর্ঘটনা দিয়ে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেছে বাংলার বুকে। অভিশপ্ত জুন মাসে ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক যাত্রীবাহী ট্রেন। শিলিগুড়ির কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই ডাউন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। আর এই একই লাইন দিয়ে আসছিল একটি মালগাড়ি। তারপর সজোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার একটি রেল দুর্ঘটনার খবর সামনে এল। আর সেই কারণেই এবার প্রশ্নের মুখে রেলের সুরক্ষা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএবার ট্রেনের আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল দেশজুড়ে। কারণ, এবারেও দুর্ঘটনার কবলে পড়লো একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। দারওয়ে থাকা অবস্থায় ট্রেনের দুটি কামরায় আগুন লেগে যায়। ট্রেনটি দাউদাউ ককরে জ্বলতে থাকে বেশ কিছু সময়। আর তাতেই ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায়। তবে তারপর দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে যে কামরায় আগুন লাগে, সেটি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর আসেনি। তবে এমন দুর্ঘটনা ফের একবার ট্রেনের প্রতি আতঙ্ক বাড়লো দেশজুড়ে।
কোথায় ঘটেছে এই রেল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা?
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনো টাটকা। এখনো হয়তো অনেক আহত হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পান নি। এর মাঝেই তেলেঙ্গানা রাজ্যে ঘটলো এই রেল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের রেল নিলয়মের কাছে। এই স্থানে অবস্থিত রেলওয়ে ওভারব্রিজের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন লেগে যায়। জানা গেছে, ওই ট্রেনের একটি অতিরিক্ত প্যান্ট্রি কোচ এবং একটি এসি কোচে আগুন লেগে যায় আচমকা। আগুন লাগার কারণ এখনো সেভাবে জানা যায়নি।
#WATCH | Telangana: A spare pantry coach and an AC coach kept near railway overbridge near Rail Nilayam in Secunderabad caught fire. The fire was soon doused off by the fire tenders. No casualties or injuries were reported. pic.twitter.com/zMaOgLLxb4
— ANI (@ANI) June 20, 2024
কিভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল?
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেকেন্দ্রাবাদের স্টেশন ফায়ার অফিসার ডি মোহন রাও বলেন, “সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ দমকল কন্ট্রোল রুমে খবর আসে ট্রেনে আগুন লেগেছে। এরপর আমরা তৎক্ষণাৎ সেখানে ছুটে যাই। খবর দেওয়া হয় দমকলে। নিজেরাও আগুন নিভিয়ে ফেলার কাজে লেগে পড়ি।” তবে রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই দুটি রেল কামরা অতিরিক্ত কোচ হিসেবে সেখানে রাখা ছিল। সেই কারণে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।