বিগত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিভিন্ন দুর্নীতি সামনে এসেছে। কিছুদিন আগে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ২৬ হাজার জনের প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের পক্ষে। একইসঙ্গে যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের প্রাপ্ত বেতন সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষে। একইভাবে তৃণমূল সরকারের আমলে তৈরি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে আদালত। সেগুলি তৈরির সময় হওয়া দুর্নীতির কারণে বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও রেশন দুর্নীতি নিয়ে তো রীতিমতো জেরবার রাজ্য সরকার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এসবের পরেও রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রেখেছেন। তাই এবার লোকসভা ভোটে ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার দুর্নীতি দমনে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আমলা ও মন্ত্রী ও বিধায়কদের নিয়ে এবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বৈঠকে রীতিমতো মেজাজ হারালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মেজাজ হারিয়ে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী? আসুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
জবরদখল প্রসঙ্গে সরকারি অফিসারদের হুঁশিয়ারি
এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী থেকে সচিব এমনকি সরকারি আমলাদের বিভিন্ন ইস্যুতে তুলোধনা করেন মমতা। বিশেষ করে উচ্চ পর্যায়ের কিছু অফিসারকে করা হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রশাসনিক কাজের রিপোর্ট দেখেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন পৌরসভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাজ না করার বিষয়টি নিয়ে তাদের ভর্ৎসনা করেন তিনি। এরপরেই রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে মমতা বলেন, “এবার কি আমাকে ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে?” এছাড়াও পূর্ত দপ্তরের একশ্রেণীর অফিসারদের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “ওদের তো কোন দায়িত্ব নেই। শুধু টাকা খাওয়া কাজ।”
দুর্নীতি প্রসঙ্গে মেজাজ হারিয়ে মমতা যা বললেন
এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গে বেশ কিছু সরকারি আমলাকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, “আমি ওই সব টাকা নিই না। নিতে চাই না। অফিসাররা টাকা খাবেন। আমি বদনাম নেব কেন? কতবার করে জেলা শাসকদের বলেছি, জমি মাফিয়াদের আটকাও। শেষ করো ওদের কারবার। কিন্তু বারবার ডিএম-দের বলা সত্ত্বেও তা বন্ধ করতে পারেনি। এর দায় কার?”
BLRO অফিসারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
এদিন ভূমি ও রাজস্ব দফতরের অফিসারদেরও একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, “ওঁদের বলুন, চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেব। ওঁদের লিভ দিয়ে দিন। কারণ ওঁদের চাকরিতে রাখা মানেই সরকারের লোকসান। তার চেয়ে বরং বসিয়ে দিন। কাউকে চুরি করার অধিকার দেওয়া হয়নি। সরকার তো মাইনে দিচ্ছে। তার পরও চাই, চাই আর চাই।”