মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পের। আর এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষজন। এখনো অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের নানা ধরণের মানুষদের উন্নীত করতে সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার। বলা বাহুল্য, এইসব প্রকল্পের রূপায়ণের মাধ্যমেই রাজ্যের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে রাজ্যের কৃষকদের অর্থ সাহায্য করতে চালু করা হয় ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের বছরে দুবার টাকা দেওয়া হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্পে এবার দুর্নীতির ছায়া দেখা গেল রাজ্যে। আর এবার এই প্রকল্পের টাকা পৌঁছে গেল অন্য অ্যাকাউন্টে। অর্থাৎ, যে আসল টাকা প্রাপক, সে বঞ্চিতই থেকে গেল। অন্য দিকে যোগ্য প্রাপকের টাকা পৌঁছে গেল অন্য কারো অ্যাকাউন্টে। সম্প্রতি, এমনই এক অভিযোগ সামনে এসেছে। যা নিয়ে উবার তোলপাড় হওয়ার অপেক্ষায় রাজ্যের রাজনীতি। কারণ অদূর অতীতে যেভাবে দুর্নীতির নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে সরকার, তাতে করে আবার এই প্রকল্প দুর্নীতিকে টার্গেট করতে পারে বিরোধীরা।
আসল ঘটনাটি কি? কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা?
ঘটনার সূত্রপাত মালদার হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট অঞ্চলে। সেখানের প্রায় শতাধিক কৃষক তাদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা না পাওয়ার কারণে অনুসন্ধান করতে শুরু করে। আর স্ট্যাটাস চেক করতে দেখা যায় যে তাদের টাকা তো ঢুকে গেছে। কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্টে নয়, বরং অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে টাকা। সূত্রের খবর, এমন শয়ে শয়ে অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে প্রাপকদের টাকা। এমনকি অনেক নাবালকের অ্যাকাউন্টেও যাচ্ছে এই টাকা, এমনটাই অভিযোগ। আর সেইসব অ্যাকাউন্টের মালিক নাকি ভিনরাজ্যের কেউ। তাই ভেতরে ভেতরে একটা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেই আসছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশাসনের মতামত
● স্থানীয় বিডিও বলেন, “কোনও কৃষক আমাদের এখনও অভিযোগ জানাননি। এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কাছে এসে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানান”।
● কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, “কোনও একজন সিএসপি কর্মী এই সংবাদটি করিয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে বিডিওকে জানিয়েছি। তাঁকে দিয়ে তদন্ত করাই। সিএসপি কর্মী এই সংবাদ বলে বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি করেন। ওই অঞ্চলের সকল কৃষক তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কোনও নাবালকের অ্যাকাউন্টে টাকা যায়নি। তদন্তেই সেকথা জানা গিয়েছে।”