সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেকগুলি বিষয় আগে থেকে ভেবে রাখতে হয়। ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা থেকে আপনি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আর এই লাভজনক ব্যবসার বিকল্পটি হল টিশার্ট প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা।
প্রিন্টিংয়ের ব্যবসায় ভালো মুনাফা
আজকাল কাস্টোমাইজড পোশাক পরার ট্রেন্ড চলছে। এখন কমবেশি সবাই নিজের মতো করে জামা বা গেঞ্জি ডিজাইন করে পরতে ভালোবাসেন। তাই আজকাল হ্যান্ড-প্রিন্টেড টিশার্ট ও পাঞ্জাবির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে তা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ ও তাতে শিল্পভাবনা দরকার। তবে মেশিনের সাহায্যে টিশার্ট প্রিন্ট করে সহজেই আপনি তা অনলাইন ও অফলাইন স্টোরে বিক্রি করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। আর এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডও তৈরি করতে পারবেন আপনি ভবিষ্যতে। তাই এই ব্যবসা করতে পার্কে যে এর ফল সুদূরপ্রসারী হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবার জেনে নেওয়া যাক যে কিভাবে এই ব্যবসা করা এবং তা থেকে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?
এই ব্যবসা বাড়ি থেকেই শুরু করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস কিনতে হবে আপনাকে। এক্ষেত্রে প্রিন্টিং মেশিন, কম্পিউটার, ডিজাইন প্যাড ও রং কিনতে হবে। এছাড়াও সলিড রংয়ের টিশার্ট বাজার থেকে কিনতে হবে। একসাথে অনেক টিশার্ট নিলে কম দামে পাওয়া যাবে। সব জিনিস কিনতে খরচ হবে লক্ষাধিক টাকা। তবে এই কাজটি শুরু করে আপনি যদি ঠিকমতো বিক্রি করেন, তাহলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারের সুযোগ থাকবে এই ব্যবসা থেকে। তাই হাত গুটিয়ে না বসে থেকে শুরু করুন এই ব্যবসা, আর বুঝে নিন নিজের মুনাফা।