আজকালকার দিনে টাকা লেনদেন অনলাইনে হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক জায়গায় অনলাইনে লেনদেন হয়না। সেই কারণে প্রত্যেকের ‘হার্ড ক্যাশ’-এর প্রয়োজন পড়ে কখনো কখনো। যদিও ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে টোকা তোলার দিন এখন প্রায় শেষের মুখে। এখন অনেকেই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে থাকেন টাকা তোলার ক্ষেত্রে। যেকোনো এটিএম মেশিন থেকে কার্ড স্ক্র্যাচ করে এখন টাকা তোলা যায়। এজন্য যদিও ব্যাঙ্ক গ্রাহকের থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে কিছু চার্জ নিয়ে থাকে। তা হলেও আজকাল সকলেই এটিএম কার্ড সঙ্গে রাখেন। আপদকালীন ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি এটি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআর এবার এই এটিএম কার্ড থেকে ব্যবসা করার একটি দারুন সুযোগ এসে গিয়েছে। ভারতের নাগরিকদের মধ্যে দিনের পর দিন ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। দেশে চাকরির দুরবস্থা থেকেই মানুষের মনে বিগত দশকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে দেখা গেছে এক সমীক্ষায়। আর আপনি এমন ব্যবসার কথা চিন্তাভাবনা করলে মাইক্রো এটিএম ব্যবসা আপনার জন্য দারুন একটি বিকল্প হতে পারে।
কিভাবে শুরু করবেন মাইক্রো এটিএম ব্যবসা?
আসলে যেসব প্রত্যন্ত জায়গায় এখনো এটিএম মেশিন উপলব্ধ নেই, সেইসব জায়গায় এই ছোট্ট একটি মেশিনের সাহায্যে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স চেক করে থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার কাজও করা যায়। এই ব্যবসা শুরু করা জন্য আপনাকে আগেই PayNearby, Spice Money এবং Fino Payments Bank বা ফিনটেক কোম্পানির সিঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এবার নিজের বিশ্বস্ত কোনো ব্যাঙ্কের সাথে কথা বলতে হবে। সব কাগজপত্র তৈরি হয়ে গেলে মাইক্রো এটিএম মেশিন কিনে নিয়ে যেকোনো জায়গা থেকে ব্যাংকিংয়ের যাবতীয় কাজ করা যায়।
এই ব্যবসা থেকে কিভাবে রোজগার হবে?
এই ব্যবসা থেকে মূলত কমিশন সিস্টেমে রোজগার হয়। অর্থাৎ, প্রতিটি ট্রান্সকশনে রোজগার হয়। এক্ষেত্রে লেনদেনের অঙ্কের উপর কিছু নির্ভরশীল হয়না। প্রতিটি ট্রান্সকশনে ৮ টাকা করে রোজগার হবে। তাতে সে ৫ টাকার হোক বা ৫০০ টাকার। এইভাবে সারাদিনে ২৫০ টি ট্রান্সকশন করলেই দৈনিক ২,০০০ টাকা রোজগার হবে। এবার আপনি একাধিক মাইক্রো এটিএম মেশিন কিনে কয়েকজনকে নিযুক্ত করে বড় আকারে এই ব্যবসা করতে পারেন। মূলত, বাসস্ট্যান্ড, বা রেল স্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় এই ব্যবসা সবথেকে ভালো চলে।