Business idea : সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। তবে আপনি যদি গ্রামের বাসিন্দা হন, তাহলে এই ব্যবসা আপনাকে বিপুল উপার্জনের সুযোগ প্রদান করে। আসলে যে ব্যবসার কথা বলছি, সেটি হল শ্রম ঠিকাদার ব্যবসা। এই ব্যবসা করে গ্রামের অনেকেই মোটা টাকা রোজগার করছেন। এখন এই ব্যবসার চল ব্যাপকভাবে রয়েছে গ্রামেগঞ্জে। তাই গ্রামের মধ্যে থেকে আপনি যদি ভালো উপার্জনের কোনো বিকল্প খুঁজছেন এবং ঠিকাদারি কাজে আপনার দক্ষতা থাকে, তাহলে নিবন্ধটি পড়ে জানুন এই শ্রম ঠিকাদার ব্যবসা সম্পর্কে।
শ্রম ঠিকাদারি ব্যবসার সম্পর্কে জানুন
এখন কাজের সন্ধানে অনেকেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে। তবে তারা কোথায় কাজে যাবেন, কিভাবে কাজে জয়েন করবেন, সেখানে তার কাজ কি হবে এবং কাজের পরিবর্তে কি কি সুবিধা পাবেন এবং তার শ্রমের বিনিময়ে বেতন কত হবে, তা নিয়ে যে ব্যক্তি কোম্পানি ও শ্রমিকদের মধ্যে ডিল করেন, তাদের শ্রম ঠিকাদার বলা হয়। আর এই কাজ গ্রামেগঞ্জে থেকেই করতে হবে। কারণ, শ্রমিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা, তাদের বোঝানো- এইসব কাজ পরিচিত মানুষরাই ভালো করতে পারবেন। তাই গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য এই ব্যবসা শুরু করা সহজ হবে তুলনামূলক ভাবে।
কিভাবে শ্রম ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য সবার আগে যে কাজটি করতে হবে, তা হল- যে কোম্পানির শ্রমিক দরকার, তাদের সঙ্গে চুক্তি করা। শ্রমিকের বিনিময়ে পারিশ্রমিকের চুক্তি আগে করতে হবে। এবার রাজ্যের দ্বারা আধিকারিক স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা লেবারপার্টের মাধ্যমে এই কাজের জন্য লাইসেন্স জোগাড় করতে হবে। এবার একটি নিজস্ব অফিস স্থাপন করতে হবে। অফিস থেকেই যাবতীয় কাজকর্ম করতে হবে। সফলভাবে এই ব্যবসা করতে পারলেই চাকরির বেশি রোজগার করতে পারবেন।