আমাদের দেশের অনেক স্তরে মহিলারা আজো স্বাবলম্বী নন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য একের পর এক জনদরদী প্রকল্প হাতে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর মধ্যে সর্বাধিক চর্চিত প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প। ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে ইস্তাহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পটি চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। রোজগারহীন দুঃস্থ মহিলাদের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে কিছু অর্থসাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এবার দেশের একটি রাজ্যে মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থে আরেকটি ‘নিযুত ময়না’ নামের একটি প্রকল্প চালু করতে চলেছে সরকার। এবার আর মাসে ১,২৫০ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে রাজ্যের দুঃস্থ ও অনগ্রসর মহিলাদের। তবে অবিবাহিত অবস্থায় পড়াশুনা চালিয়ে গেলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এর ফলে রাজ্যের মহিলাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে স্বাবলম্বীতা আরো অনেক বাড়বে বলে জানা গেছে। এবার চলুন এই প্রকল্পের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
‘নিযুত ময়না’ প্রকল্পের সুবিধা সমূহ
● উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে স্নাতক স্তরে ভর্তি হলে মাসে ১,২৫০ টাকা পাবেন ছাত্রীরা।
● ছাত্রীরা স্নাতকোত্তর বা বিএড কোর্সে ভর্তি হলে মাসে ২,৫০০ টাকা পাবেন।
● একাদশ শ্রেণিতে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করলে, উচ্চমাধ্যমিক অবধি ২০,০০০ টাকা, স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করলে ৩ বছরে মোট ৪৫,০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর ও বিএড কোর্সে পড়াশুনা করলে ছাত্রীরা ৬০,০০০ টাকা পাবেন।
যেসব মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
● শুধুমাত্র ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
● ছাত্রীরা যে কোনও সরকারি কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তবেই টাকা পাবেন
● কেবলমাত্র অবিবাহিত ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
● আপাতত আসাম রাজ্যের ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
‘নিযুত ময়না’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে যেসব নথি দরকার
● আধার কার্ড
● পাসপোর্ট সাইজের ছবি
● মোবাইল নম্বর
● ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস
● মাধ্যমিক পাশের মার্কশিট
● স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র
এখনো এই প্রকল্পের জন্য আবেদনের জন্য কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তাই আবেদন পদ্ধতি এখনো সঠিকভাবে জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিবৃতি সামনে এলে অফিসিয়াল পোর্টালে গিয়ে সব নথি সহ আবেদন করতে হবে যোগ্য ছাত্রীদের।