বর্তমান সময়ে চাকরির বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন অনেকেই। তাই আজকালকার দিনে ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। মূলধন অনুযায়ী সকলেই এখন ব্যবসার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। কেউ কেউ যেমন বেশি মূলধন নিয়ে বড়সড় ব্যবসায় নামার কথা ভাবছেন, তেমনই আবার অনেকে ছোটখাটো অঙ্কের মূলধন নিয়ে বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। তাই অনেকের মতে আগামী প্রজন্ম হয়তো ভারতের বুকে এক অন্য স্বনির্ভর শিল্পবিপ্লব দেখতে চলেছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআপনার মনেও হয়তো এসেছে এমন কিছু চিন্তাভাবনা। কিন্তু ব্যবসা তো আর মুখের কথা নয়। কারণ ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ব্যবসা করার কথা ভেবে নেওয়া যায় অনায়াসে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা থেকে এই গ্রীষ্মের মরশুমে ভালো রোজগার করা সম্ভব।
আইস কিউবের ব্যবসায় দারুন লাভের সুযোগ
গরম পড়লে এমনিতেই বরফের চাহিদা বেড়ে যায়। নামি দামি রেস্তোরাঁ থেকে ফুটপাথের জুস বা লস্যির ফোকানে বরফের ব্যাপক চাহিদা থাকে এই সময়ে। এইসব স্থানে মূলত স্বচ্ছ বরফের চাহিদা বেশি থাকে। তাই এই গ্রীষ্মে যদি যায়নি আইস কিউব তৈরির একটি কারখানা তৈরি করতে পারেন, সেক্ষত্রে ভালোরকম রোজগারের সুবিধা পেয়ে যাবেন আপনি। আর সবথেকে বড় কথা হল এই ব্যবসা শুরুতে খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়না। একইভাবে বাড়ির পাশের ফাঁকা জায়গায় বা বাড়ির মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করা হয়।
কিভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন?
এই ব্যবসা শুরুর জন্য নিজের জায়গায় একটি ছোট্ট কনস্ট্রাকশন করতে হবে। এবার বরফ কারখানার জন্য সরকারের থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এবার সবকিছু হয়ে গেলে বরফ তৈরির জন্য বড় রেফ্রিজারেটর মেশিন কিনতে হবে। এই মেশিনের দাম পড়বে পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো। এবার গ্রীষ্মের মরশুমে প্যাকেট করে আইস কিউব বিক্রি করুন। সাধারণত এক প্যাকেট আইস কিউবের দাম পড়ে ৫০ টাকা। অর্থাৎ, গ্রীষ্মে সঠিকভাবে এই ব্যবসা করতে পারলে আপনি সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন।