গত ২ বারের সময়কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে দেশে চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্প। আর এই সব প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন দেশের সমস্ত স্তরের মানুষজন। এখনো অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের নানা ধরণের মানুষদের উন্নীত করতে সাহায্য করেছে কেন্দ্র সরকার। বলা বাহুল্য, এইসব প্রকল্পের রূপায়ণের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়নে এক বড় ভূমিকা নিয়েছে মোদির কেন্দ্রীয় সরকার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআর মোদি সরকারের সব রকমের জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা। ২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেওয়ার সময় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর সেই বছরের ২৮ আগস্ট শুরু হয় এই যোজনা। এই প্রকল্পের অধীনে, ৬ জানুয়ারী, ২০২১ এর মধ্যে, জন ধন অ্যাকাউন্টের মোট সংখ্যা বেড়ে হয় ৪১.৬ কোটি। অর্থাৎ, দেশের বিপুল পরিমাণ মানুষের থেকে সাড়া মিলেছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তাই এই সরকারি যোজনাকে জনহিতকর বলাই যায়।
জন-ধন যোজনায় বিনামূল্যে যেসব সুবিধা মিলবে
(১) কেন্দ্রীয় সরকারের এই ‘জন-ধন যোজনা’র মাধ্যমে নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন নাগরিকরা। কারণ এই ধরণের অ্যাকাউন্ট খোলা যায় জিরো ব্যালেন্সেই। অর্থাৎ, আপনার হাতে এক টাকা না থাকলেও ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনি কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের অধীনস্থ হয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
(২) এই প্রকল্পের আরেকটি বড় সুবিধা হল এই যে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়ে ১০ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো ভারতীয় নাগরিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
(৩) এই ধরণের অ্যাকাউন্ট খুললে সঙ্গে ‘Ru-Pay’ ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। অন্যান্য সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে যেমন এসব ডেবিট কার্ড পেতে হলে তার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়, জন-ধন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সেটা দিতে হয়না।
জন-ধন অ্যাকাউন্টের অন্যান্য সুবিধা
(১) এই ধরণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে সেখান থেকে ওভার-ড্রাফটের সুবিধা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, অ্যাকাউন্ট-এ টাকা না থাকলেও শুরুতে সেখান থেকে ২ হাজার টাকা তোলা যায়।
(২) এছাড়াও এই ধরণের অ্যাকাউন্ট ৬ মাসের পুরানো হলে এই ওভার-ড্রাফট লিমিট বেড়ে হয়ে যায় ১০ হাজার টাকা।
(৩) ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমা কভার পাওয়া যায় এই অ্যাকাউন্টে। এছাড়াও, ৩০ হাজার টাকার লাইফ কভার মেলে।