‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’- এই শ্লোগান ভারতের মাটিতেই দেওয়া হয়। কারণ কৃষকরা আমাদের দেশের একটি মূল অর্থনৈতিক স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। বলা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই ভারত হল একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিকাজের উপরেই আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে কৃষিকাজ যেন দুঃসাধ্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাবছর চাষাবাদ করেও লাভবান হচ্ছেন না কৃষকরা। তবে সরকার বারেবারে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই কৃষকদের উন্নীত করতে রূপায়িত হয়েছে একাধিক প্রকল্পের।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমোদি সরকার কয়েকবছর আগে দেশের কৃষকদের জন্য কেন্দ্র ‘কিষান সম্মান নিধি’ যোজনা চালু করেছে। আর এবার এই প্রকল্পের অধীনস্থ কৃষকদের জন্য আসতে চলেছে সুখবর। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা’র অধীনে, পরবর্তী অর্থাৎ ১৭ তম কিস্তির টাকা কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বলে জানা গেছে। এই কিস্তিতেও আগের মতোই ২,০০০ টাকা দেওয়া হবে। ফলে বলাই যায় যে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকদের কিস্তির অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
জুন মাসেই ঢুকবে প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার টাকা
কেন্দ্র সরকার এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অধীনে অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার ১৬ টি কিস্তি জমা করেছে। প্রতি বছর এই স্কিমের অধীনস্থ কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দেয় কেন্দ্র। তবে এই টাকা তিনটি কিস্তিতে দেওয়া হয়। চার মাস অন্তর এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষকদের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। আর এবার স্কিমের ১৭ তম কিস্তির টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠাবে মোদি সরকার। জানা গেছে, ১৮ ই জুন, মঙ্গলবার থেকে এই টাকা ঢুকতে শুরু হবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওইদিন বারাণসী যাবেন। সেখান থেকেই তিনি এই টাকা পাঠাবেন বলে জানা গেছে।
এই কাজটি না করলেই বন্ধ হবে প্রকল্পের সুবিধা
কয়েকটি কাজ না করলেই কিন্তু কৃষকরা এই টাকা পাবেন না, এই কথা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে স্বচ্ছতা আনতেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, সুবিধাভোগী কৃষকরা তাদের ই-কেওয়াইসি না করালে এই টাকা পাবেন না। এই কাজটি কৃষকরা ফেসিয়াল ই-কেওয়াইসি সিস্টেমের মাধ্যমে করাতে পারেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার জন্য আবেদন করার সময় প্রতিটি কৃষককে আবেদনপত্র যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবেদনপত্রে কোনরূপ ভুল থাকলে কিন্তু এই টাকা মিলবে না।