Electricity Bill : দিন প্রতিদিন আমাদের মানবসভ্যতা উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে। আর এই উন্নতিসাধনের জন্য যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল প্রযুক্তি। আজকাল প্রায় সব প্রযুক্তিই হল বিদ্যুৎনির্ভর। তাই আজকাল বিদ্যুৎ ছাড়া যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন অসম্ভব, তেমনই বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জনজীবন প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। কারণ আমাদের সকলের বাড়িতেই সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিদ্যুতে চলে। সেটি বাতি হোক বা পাখা কিংবা রেফ্রিজারেটর কিংবা শীতকালে গরম জলে স্নান করার জন্য গিজার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু ইলেকট্রিক থাকলেও ইলেকট্রিকের বিল নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন মাঝেমধ্যে। কারণে দেশে দিন দিন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে একটু একটু করে। এদিকে চাহিদার সঙ্গে বাড়িতে ইলেকট্রিক গ্যাজেটের সংখ্যাও বাড়াতে হচ্ছে, আর সেগুলিকে চালু করেও রাখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিলের সমস্যায় ভুগছেন কমবেশি সকলেই। আর গ্রীষ্মে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মে ইলেকট্রিক বিল অনেক বেশি আসে। তাই বিলের টেনশন যে গ্রীস্মেই বেশি, তা বাঙালি একবাক্যে স্বীকার করবে।
আর এবার গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের বিল নিয়ে একটি বড় আপডেট ফিতে চলেছে CESC। ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন বা সিইএসসি হল কলকাতার প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। কলকাতা পৌরসংস্থার অধিভুক্ত এলাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অনেক এলাকাতেও এই সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। আর এবার এই সংস্থার তরফে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি আবেদনপত্র এলে রাজ্য বিদ্যুৎ কমিশনে। তাদের আবেদন অনুযায়ী, আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে এই মুহূর্তে। তাই সংস্থার স্বার্থে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে CESC।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এই সংস্থার দাবি, গত তিন বছর, অর্থাৎ ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তাদের যথাক্রমে ১১৬১.৭৩ কোটি, ১১২৩ কোটি এবং ১২৪৪.৭২ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। এদিকে ২০১৭-র পর আর বিদ্যুতের দামও বৃদ্ধি করেনি তারা। এই কারণেই এই সংস্থা, আগামী তিন অর্থবর্ষে, অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত সুদ সহ ইউনিট প্রতি যথাক্রমে ১.৬০, ১.৫০ ও ১.৫০ টাকা হিসেবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে চাইছে। যদিও এই মূল্যবৃদ্ধি তখনই কার্যকর হবে, যখন বিদ্যুৎ কমিশন এই আবেদন মঞ্জুর করবে।