দেশের মানুষদের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চালু হয়েছিল রেশন ব্যবস্থা। স্বাধীনতার পরই ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে চালু করা হয় এই রেশন ব্যবস্থার। আর এখনো সেই ব্যবস্থাটিকে সুচারুভাবে চালিয়ে আসছে দেশের সরকার। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের সহাবস্থানেই এই বিরাট ব্যবস্থা চলে দেশজুড়ে। রেশন কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে রেশন সামগ্রী দেওয়া হয় নাগরিকদের।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকরোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশের খাদ্যাভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া মোদি সরকার। ২০২০ সালে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র। আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গেছে, ২০২৯ সাল অবধি মিলবে এই সুবিধা। আর এই আসন্ন সময়ে আরো বেশি দেশবাসীকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।
সবার জন্য বিনামূল্যে রেশনের ঘোষণা
সূত্রের খবর, আগামী স্পেলে ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। এর ফলে কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ এর ফলে গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের অনেক মানুষ এই সুবিধা পেতে চলেছেন। আর সেই কারণেই নতুন বছরের আগে এটি একটি দারুন ব্যবস্থা হতে চলেছে। এর ফলে আবার দেশের গরিব নাগরিকরা বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পেয়ে যাবেন। দেশের নাগরিকদের খাদ্য সুরক্ষা দিতে যে এটি আরো একটি বড় পদক্ষেপ নিলো মোদি সরকার, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিনামূল্যে ১০ কেজি রেশন দেওয়ার ঘোষণা
তবে এক্ষেত্রে রেশন সুবিধাভোগীরা বিনামূল্যে ৫ কেজি খাদ্যশস্য পাচ্ছেন। এর মধ্যে তারা ৪ কেজি গম ও ১ কেজি চাল পাচ্ছেন। তবে এবার থেকে এই সামগ্রী ১০ কেজি দেওয়ার ঘোষণা হল। তবে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোট দেশের ক্ষমতায় এলে ১০ কেজি বিনামূল্যে রর্সন দেওয়ার ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি, লখনৌ-এর একটি জনসভা থেকে এই ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসের প্রধান মূল্য মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তবে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে কি ভোট পাওয়া যাবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।