প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর বুকে ঘটে গেছে একের পর এক ভয়াবহ যুদ্ধ। তার মধ্যে কিছু যুদ্ধের রেশ রয়ে গেছে এখনও। প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের মধ্যে বিবাদ অনেকটা সেরকমই। তবে এর ইতিহাস বহু বছরের পুরনো। ১৯৪৭ সালে ভারতের সঙ্গেই স্বাধীনতা লাভ করে প্যালেস্টাইন। এর পর, ১৯৪৮ সালের ১৪ মে পৃথক ইজরায়েল রাষ্ট্রের গঠন হয়। আর তার সঙ্গেই আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সূচনা ঘটে। সেই যুদ্ধে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার প্যালিস্টিনিও ঘরছাড়া হন। এর পর ওই অঞ্চল তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, পৃথক রাষ্ট্র ইজরায়েল, জর্ডান নদীর তীরের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, এবং গাজা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি ফের শুরু হয় ২০২৩ সালে। গত বছর অক্টোবর থেকে ফের মধ্যপ্রাচ্যের বাতাসে বারুদ পোড়ার গন্ধ পাওয়া যায়। ইজরায়েল দাবি করে যে গাজা ভূখণ্ডে গজিয়ে ওঠা হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী প্রথম ইজরায়েলের মাটিতে রকেট হামলা চালায়। তারপর থেকেই যুদ্ধের সূচনা ঘটে এশিয়ার এই অংশে। দিনেট পর দিন হামাস ও ইজরায়েল- দুই পক্ষের মধ্যে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে শুরু করে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, হাজার হাজার বাড়ি ইমারত ধূলিসাৎ হতে শুরু করে গাজা ভূখণ্ডে।
যদিও শেষমেষ আন্তর্জাতিক চাপে ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়। কিন্তু তারপর সম্প্রতি ফের রাফায় শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ৪৫ জন মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারায়। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ট্রেন্ডিং হয়ে ভাইরাল হতে শুরু করে। প্যালেস্টাইনের পক্ষে সকলেই পোস্ট করতে থাকেন ‘অল আইজ অন রাফা’ শীর্ষক একটি ছবি। দেশবিদেশের মানুষজন ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হতে শুরু করে এই পোস্ট করে।
এই পোস্টের পাল্টা একটি পোস্ট করে এবার ইজরায়েল তাদের সাফাই দিতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইজরায়েলের তরফে একটি পোস্ট করা লেখা হয়েছে, ‘৭ অক্টোবর আপনাদের সকলের নজর কোথায় ছিল?’ এই লেখার সঙ্গে একটি ছবি রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি শিশুর সামনে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক জঙ্গি। অর্থাৎ, নিজেদের রনংদেহি ভাব জারি রেখেছে ইজরায়েল। যদিও রাফায় এই হামলার পরেই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে ভুল বলে বিবৃতি দেন। কিন্তু আদৌ কি ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চায়! প্রশ্নটা এখন বাস্তবতার রূপ নিচ্ছে।