BPSC teacher recruitment : শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অদূর অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এর মাঝেও শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। এসব কোর্স করেও অনেকে চাকরির আশায় বসে রয়েছেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একটি সুখবর এসেছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই নিয়োগ হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর থেকে পাঁচ বছর বেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি রাজ্য। তবে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহারে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল কয়েকমাস আগে। তবে এবার সেই পরীক্ষা নিয়ে বড়সড় রায় দিলো আদালত। যে রায় শুনে প্রার্থীদের একাংশের যেমন অন ভাঙতে পারে, তেমনই আবার অনেকেই খুশি হতে পারেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে বাতিল হল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা BPSC কর্তৃক জারি হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে ৮৭,৭২২ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করে। এরপর প্রার্থীদের থেকে আবেদনপত্র নিয়ে গত ১৫ মার্চ পরীক্ষাও নেয় BPSC। কিন্তু এই পরীক্ষার দুটি শিফটের প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়ে যায়। পরীক্ষার দিনেই এই গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে। আর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর গত ২০ মার্চ তৃতীয় পর্বের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেয় BPSC।
আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে জুন মাসেই
প্রশ্নপত্র ফাঁস যেন আজকাল একটা নিত্য ঘটনস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ড পরীক্ষা থেকে চাকরির পরীক্ষা, সব জায়গাতেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে বা কিছুক্ষণ পর নেট মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর সামনে আসে। বারবার এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে অভিযোগ হয়েছে, মামলা রুজু হয়েছে, কিন্তু কিছুতেই এইসব ঘটনাকে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বিহারের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। তবে ১৫ ই মার্চের পরীক্ষা বাতিল হলেও তৃতীয় পর্বের এই পরীক্ষা আগামী ১০ ই মার্চ থেকে ১২ ই মার্চের মধ্যে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এই ঘোষণা করেছে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন।