বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারকে বারেবারে খোঁচা ফিয়ে আসছে বিরোধীরা। বুশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই বেকারত্বের হার বেড়ে গিয়েছে বাংলার বুকে। যদিও এর কারণ রয়েছে অনেক। তবে কারণ খোঁজার থেকে এই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এই সমস্যার সমাধান করা। তাই এই বেকারত্বের সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজতে নানা সব পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার। এর মধ্যে যেমন অনেক শূন্যপদে হয়েছে নিয়োগ, তেমনই আবার শুন্যপদের অভাবে তৈরি হয়েছে নানা শূন্যপদ। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন বাংলার হাজার হাজার বেকার যুবক ও যুবতীরা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্যের বুকে সিভিক ভলান্টিয়ার হল এমন একটি পদ, যা প্রশাসনিক স্তরে একফিকে যেমন পুলিশকে সাহায্য করে ব্যাপকভাবে, তেমনই আবার অন্যদিকে এই পদ রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। কারণ সহজ যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিচার করে কোনরূপ পরীক্ষা না নিয়ে এই পদে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। আর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত প্রথম নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার এই পদ নিয়ে একটি সুখবর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি শূন্যপদে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। এখন একনজরে জেনে নিন এই পদের বিষয়ে বিস্তারিত।
শূন্যপদ, বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা
যে পদের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে সেটি হল সিভিক ভলান্টিয়ার। জানা গেছে, ৩৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। কয়েকদিনের মধ্যেই এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। আর এই পদে নিয়োগের পর প্রতি মাসে কর্মীরা ৯,০০০ রাকা বেতন পাবেন। পাশাপাশি, পুজোর সময় তাদের ৫,৩০০ টাকা করে এক্সট্রা বা বাড়তি বেতন বা বোনাস দেওয়া হবে এবছর থেকে। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ডিউটি করতে হবে। এছাড়াও কর্মীরা ১৪ টি ক্যাজুয়াল লিভ পাবেন।
বয়সসীমা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড
এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যেসব প্রার্থীদের বয়স ২০ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তারাই আবেদন করতে পারবেন। তবে OBC এবং SC, ST প্রার্থীরা সরকারি নিয়মানুযায়ী বয়সের ছাড় পাবেন। এছাড়াও এই পদের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে নূন্যতম কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশ করতে হবে।
আবেদন ও নিয়োগ পদ্ধতি
এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনরূপ পরীক্ষা দিতে হবেনা। শুধুমাত্র ইন্টারভিউ ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষার পরে সেই প্রার্থী যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে তার হাতে। এই পদের জন্য আবেদনের কোনো পদ্ধতি এখনো শুরু হয়নি। এক্ষেত্রে ইন্টারভিউয়ের দিন বায়োডাটা ও সমস্ত নথি নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব নথি জমা দিতে হবে, সেগুলি হল- ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড বা পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর মত ফটো আইডেন্টিটি প্রুফ, মাধ্যমিক পাসের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসা পত্র (যদি থাকে), স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট, এক কপি রঙিন ও রিসেন্ট পাসপোর্ট ফটো, বয়সের প্রমাণপত্র।