Job news : লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও এই দুর্নীতির সূত্র টানা হয়েছে বহুদিন আগেই। তবে ভোটের আগে রাজ্যের হাজার হাজার কর্মরত প্রার্থী চাকরি হারানোর পরেই এই মামলা নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজ্যে। গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গোটা প্যানেল খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫৩ শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার ও SSC।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএদিকে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে আরেকটি মামলা দায়ের হয় এই প্যানেল বাতিলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা করেন বাতিল হওয়া ওই প্যানেলে থাকা এবং যোগ্য বলে দাবি করা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও। এবাট সুপ্রিম কোর্টে রি মামলাটির গুরুত্ব বাড়ে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের রুজু করা এই মামলায় ইতিমধ্যে ২ বার শুনানি হয়ে গেছে। সর্বশেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই প্যানেল বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন বাতিল প্যানেলে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরি থাকবে।
বাতিল প্যানেলে থাকা শিক্ষকদের বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী
শুক্রবার ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা স্কুল সার্ভিস কমিশন, বিকাশ ভবন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অভিযান করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে করুণাময়ী চত্বর। শুরুতে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় অভিযানকারী শিক্ষকদের। তারপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে অবশ্য আন্দোলনকারী শিক্ষকদের কয়েক জন প্রতিনিধিকে এসএসসি দফতর, বিকাশ ভবন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। তারা সেখওনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
বিক্ষোভরত শিক্ষকরা যে দাবি তুলেছেন
এদিন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০১৬ অধিকার মঞ্চ’-এর তরফে বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, “আমরা এসএসসি অফিসে গিয়ে দাবি করেছি, ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে বিভাজনের তালিকা দিতে হবে।” তিনি আরো একটি দাবি জানিয়ে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে স্পষ্ট বলা আছে, যাঁদের নিয়োগ অবৈধ বলে অভিযোগ, কেবল তাঁদেরই মুচলেকা দিতে হবে। যোগ্যদের কোনও মুচলেকা দিতে হবে না।”