Driving licence : এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর জন্য একাধিক মাধ্যম থাকলেও স্বাধীনভাবে যাতায়াতের জন্য নিজস্ব গাড়ি বা বাইক হল সব দুর্দান্ত বিকল্প। আর নিজস্ব বাইক বা গাড়ি চালানোর জন্য যে জিনিসটি আবশ্যিকভাবে দরকার, সেটি হল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এছাড়াও অনেকে বাইক সার্ভিস দেওয়ার কাজ করেন, কেউ আবার ট্যাক্সি সার্ভিসকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এই সকলেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার পড়ে। সব ধরণের গাড়ির ক্ষেত্রে লাইসেন্স হয় আলাদা আলাদা। তাই এখন যেহেতু সকলকেই কমবেশি ড্রাইভ করতে হয়, তাই লাইসেন্স প্রায় সবারই দরকার পড়ে আজকাল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowলাইসেন্স তৈরি করাতে হয় আরটিও অফিসে গিয়ে। এটিই লাইসেন্স তৈরির সরকারি নিয়ম। এই নিয়মের মধ্যে দিয়ে সকলকে যেতে হয়। তার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তারপর লিখিত পরীক্ষা ও প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট দিয়ে পাশ করতে হয়। তারপর প্রথমে লার্নার এবং পরে পূর্ণ লাইসেন্স হাতে পাওয়া যায়। তবে এবার থেকে লাইসেন্স তৈরির নিয়ম বদলে যাচ্ছে। ১ জুন থেকেই এই নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। একনজরে দেখে নিন লাইসেন্স তৈরির নিয়মে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সম্পর্কে।
১৮ নয়, ১৬ বছর বয়সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে
ভারতে ১৮ বছর বয়সটিকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ধরা হয়। আর যেহেতু ইঞ্জিন সম্বলিত যেকোনো গাড়ি ড্রাইভিং একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাজ, তাই ১৮ বছর বয়সে বা তার পরেই বৈধভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। তবে এবার ১৮ বছরের কম বয়সেও এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রাপকের কাছে ৫০ সিসি ইঞ্জিনের বাইক থাকতে হবে। সেই বাইক চালানোর লাইসেন্স মিলবে ১৬ বছর বয়সে। এর জন্য সাধারণ নিয়মে আবেদন করে বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
পরীক্ষা না দিয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে
সরকারি নিয়মানুযায়ী এতদিন অনলাইনে আবেদনের পর আরটিও অফিসে গিয়ে লিখিত পরীক্ষা ও ড্রাইভিং টেস্ট দিয়ে তবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যেত। তবে এবার থেকে সেটির আর দরকার পড়বে না। এবার থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সংস্থায় ভর্তি হয়ে সঠিক ট্রেনিং নিলে লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে হালকা মোটরগাড়ির লাইসেন্স পেতে অন্তত ৪ সপ্তাহে নূন্যতম ২৯ ঘন্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং বাস ট্রাক বা ভারী মোটর গাড়ি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহে ন্যূনতম ৩৮ ঘন্টা প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণের সময়ে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল হতে হবে লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীকে।