বর্তমানে রাজ্যে ৫০ টির বেশি জনমুখী প্রকল্প চালু রয়েছে। রূপশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধু সহ অনেক প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্যে। এছাড়াও রাজ্যের আর সব প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী হল একটি সর্বজনবিদিত প্রকল্প। তবে এসবের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বর্তমান সময়ে বাংলার বুকে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সিংহভাগ মহিলাদের মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। সাধারণ মহিলারা মাসিক ১,০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসিক ১,২০০ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই বিষয়টি দেখে একটি বিষয় স্পষ্ট যে নারী বন্দনার মন্ত্রেই কিন্তু লাগাতার তিনবার ক্ষমতায় বাংলায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এবার এই ভাবনাতেই দিল্লিবাড়ির মসনদে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে মোদি সরকারও। সেই লক্ষ্যেই এবার দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মহিলাদের আর্থিকভাবে সাবলীলতা প্রদান করতে একটি দারুন প্রকল্প লঞ্চ করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এই প্রকল্পটির নাম হল ‘আটা চাক্কি যোজনা’। কেন্দ্রের এই স্কিমে বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন মহিলারা। এখন এই স্কিম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জেনে নিন।
‘আটা চাক্কি যোজনা’র সুযোগ সুবিধা সমূহ
● গ্রামীন এলাকার মহিলারা বিনামূল্যে একটি ককরে আটা পেষার যন্ত্র অর্থাৎ আটা চাক্কি পাবেন।
● বাড়ির দরকারের পাশাপাশি এটিকে ব্যবসার কাজেও লাগানো যাবে।
● সম্পূর্ন সৌরশক্তিতে চলবে এই আটা চাক্কি। যার ফলে এই মেশিন চালানোর খরচ নগন্য।
● সর মাধ্যমে বাড়িতে বসেই রোজগার করতে পারবেন মহিলারা।
এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন?
● শুধুমাত্র মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
● মহিলাকে গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করতে হবে।
● মহিলাকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিত গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
● ৬৯ বছরের কম বয়স্ক মহিলারা সুবিধা পাবেন।
● মহিলার পারিবারিক আয় অবশ্যই ৮০,০০০ টাকার কম হতে হবে।
প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
● আধার কার্ড
● প্যান কার্ড
● রেশন কার্ড
● শ্রম কার্ড
● মোবাইল নম্বর
এই স্কিমের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া
অনলাইনে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য প্রথমেই কেন্দ্র সরকারের খাদ্য সরবরাহ বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের রাজ্য বেছে নিতে হবে। সেখানেই আটা চাক্কি যোজনার জন্য আবেদন পত্র পেয়ে যাবেন। এবার সেটিকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করিয়ে নিতে হবে। নির্ভুলভাবে সেই ফরম পূরণ করে সমস্ত নথি সহ নিকটবর্তী নিরাপত্তা বিভাগের অফিসে জমা দিয়ে দিতে হবে।