গাড়ি হোক বা বাস, সড়ক পথে দূরের কোনো গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে আজকাল হাইওয়ে ধরতেই হয়। প্রচুর ন্যাশনাল হাইওয়ে দেশের প্রতিটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে, যা দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে এক গতি প্রদান করে। এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক বিচার ককরে হাইওয়ে নির্মাণ বা সংস্কার করা হচ্ছে। এর ফলে রাস্তায় জ্যাম থেকে দুর্ঘটনা, সবই কমানো সম্ভব হচ্ছে। এককথায়, প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতগতির সাহায্যে নিরাপদে সফর করার জন্য আজকাল দেশ ও বিভিন্ন রাজ্যের পরিবহন দফতরগুলি কাজ করে চলেছে। আর এবার এমন এক প্রযুক্তি আনা হচ্ছে, যার ফলে পরিবহন ব্যবস্থার গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলস্বরূপ, সড়ক পথে পরিবনকারী যাত্রীদের সময় অনেকটা বাঁচবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowজানা গেছে, এবার ফাস ট্যাগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশজুড়ে এই ফাসট্যাগ ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক। ফাসট্যাগ হল গাড়ির ডিজিটাল তথ্যসম্বলিত ট্যাগ, যা রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তিতে কাজ করে। বিভিন্ন টোল প্লাজায় পরিবহন কর দেওয়ার সময় এটি কাজে লাগে। গাড়ির সামনের কাচে লাগানো একটি কার্ডের সাহায্যে দেওয়া যায় টোলের টাকা। কারণ এই ফাসট্যাগের সঙ্গে গ্রাহকদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা থাকে। যেখান থেকে কর বাবদ নির্দিষ্ট টাকা কেটে নেওয়া হয়।
ফাসট্যাগ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে
ফাসট্যাগ রেজিস্ট্রেশন করার পর গাড়ি মালিকদের একটি কার্ড দেওয়া হয়। সেই কার্ড গাড়ির সামনে লাগাতে হয়। টোল প্লাজায় নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি এসে দাঁড়ালেই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির সাহায্যে ওই কার্ড স্ক্যান করে ফাসট্যাগ থেকে কেটে নেওয়া হয় পরিবহন কর। তবে অনেক ক্ষেত্রে ফাসট্যাগ কার্ড ঘষা গিয়ে আবছা হয়ে যাচ্ছে কিংবা ধুলোবালি জমে যাচ্ছে সেটির উপর। এর ফলে অনেক সময় প্লাজায় সেটি স্ক্যান করে সম্ভব হচ্ছে না। কটন স্ক্যানিং মেশিন ও তাতে থাকা সফ্টওয়্যার এইভাবে কার্ড স্ক্যান করতে সক্ষম নয়। সেই কারণে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গাড়ি চালকদের। একইসঙ্গে টোল প্লাজার লাইন দীর্ঘায়িত হচ্ছে এই কারণে।
সমস্যার সমাধান করতে আসছে উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস
তবে এই সমস্যাকে সমাধান করতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক। জানা গেছে, এবার ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ আইটি ও হার্ডওয়ারের সিস্টেমের ক্ষেত্রে বড় বদল আনতে চলেছে। এর ফলে ফাসট্যাগ স্ক্যান করে আরো বেশি সহজ হবে। সূত্রের খবর, এক অভিজ্ঞ এজেন্সিকে এই ব্যবস্থার প্রযুক্তি উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা নতুন ডিভাইস লঞ্চ করতে পারে, যেটি কেন্দ্র সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি বিভাগ পরীক্ষা করবে। ছাড়পত্র মিললে তবেই সেটিকে কাজে লাগানো হবে বলে জানা গেছে।