স্নাতক পাশ করার পর শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। আবার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার জন্য প্রার্থীদের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা NET পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। আর এবার জাতীয় স্তরের এই পরীক্ষা নিয়ে এসে গেল এক বড়সড় আপডেট।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমঙ্গলবার, এই বছরের নেট পরীক্ষা আয়োজিত হয়। এবার UGC-NET পরীক্ষার জন্য ১১,২১,২২৫ জন প্রার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। যাদের মধ্যে পরীক্ষা দেন ৯,০৮,৫৮০ জন। প্রথম শিফটে পরীক্ষা দেন ৪,৭৩,৪৮৪ জন। দ্বিতীয় শিফটে ৪,৩৫,০৯৬ জন পরীক্ষা দেন। তবে পরীক্ষা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা NTA-র তরফে। কিন্তু ঠিক কেন বাতিল হল এই পরীক্ষা? আবার কোনো দুর্নীতি বা জালিয়াতি? এই বিষয়টি বুধবার রাতেই স্পষ্ট করেছে NTA।
কি কারণে বাতিল হল ২০২৪-এর UGC-NET পরীক্ষা?
বুধবার রাতে NTA তরফে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের ১৮ জুন দেশের বিভিন্ন শহরে দুটি শিফটে ওএমআর মোডে জুন সেশনের UGC-NET পরীক্ষা নিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ১৯ জুন পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিউট অফ ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের থেকে কয়েকটি তথ্য জানতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে ওই পরীক্ষার স্বচ্ছতার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০২৪ সালের জুন সেশনের UGC-NET পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই সংক্রান্ত তথ্য আলাদাভাবে জানানো হবে।’
NTA-র সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
পরীক্ষা বাতিলের এই খবর সামনে আসার পর থেকেই পরীক্ষার্থীরা NTA-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সাইকোলজির বিষয়ের পড়ুয়া সৌমি ধর। বলেন, “UGC-NET বাতিলের কথা জানার পর মনে হচ্ছে যে ভারতে উচ্চশিক্ষার পরিসর ও তার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশ কমে আসছে। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে এমন গাফিলতি বরদাস্ত করা যায় না। সমস্ত পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হল।” কেউ কেউ আবার ফের অনলাইনে পরীক্ষা চালুর দাবি জানান।