মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করার পর এখন অনেক পড়ুয়াই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবে ডাক্তার হওয়া তো আর মুখের কথা নয়, তার জন্য দরকার পড়ে MBBS ডিগ্রির। আর এই ডিগ্রি পাওয়ার জন্য পড়াশুনা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে বসতে হয় এক প্রবেশিকা পরীক্ষায়। আগে এই পরীক্ষা নেওয়া হয় রাজ্যস্তরে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মাধ্যমে এই মেডিকেল কোর্সের যোগ্যতা অর্জন করা যেত। তবে কয়েকবছর আগে এই প্রবেশিকা পরীক্ষা সর্বভারতীয় স্তরে নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন NEET পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের মেডিকেল কোর্স পড়ার যোগ্যতা নির্ণয় করা হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআর এই NEET পরীক্ষায় দুর্নীতির কারণে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। এবছর মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দিন থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে এই পরীক্ষাকে নিয়ে। পরীক্ষায় অস্বচ্ছতা থেকে ফলাফলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে দুর্নীতি, এই সব নিয়েই বিভিন্ন আলোচনা চলছে পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকের মধ্যেই। আর এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারের পরীক্ষা ও তার ফলাফল নিয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে? কি বললেন শিক্ষামন্ত্রী? জেনে নিন নিবন্ধের বাকি অংশটুকু পড়ে।
বড় পরীক্ষায় ভুল হতেই পারে, বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এই NEET পরীক্ষা যে সংস্থা নেয়, অর্থাৎ ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সি এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। NTA-র তরফে জানানো হয়েছে যে, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী যাদের বাড়তি নম্বর তথা গ্রেস মার্কর্স দেওয়া হয়েছিল, তাদের বাড়তি নম্বর বাতিল করা হবে। আর এবার এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “উদ্বিগ্ন অথবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। তদন্ত শেষ হওয়া অবধি অপেক্ষা করা উচিত। আগামী ৮ জুলাই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন অবধি আমরা অপেক্ষা করি। কোনও কিছু লুকনোর নেই।”
পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী
তবে গোটা পরীক্ষা আপাতত বাতিল হচ্ছে না বলেই জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ধর্মেন্দ্র প্রধান এই বিষয়ে বলেন, “দেশ এবং দেশের বাইরে মিলিয়ে ৪৭০০-রও বেশি সেন্টারে ২৩ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী NEET পরীক্ষা দিয়েছে। ১৩টি ভাষায় পরীক্ষা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট দু’টি সেন্টার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্বিগ্ন অথবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টও এই নিয়ে রায় দিয়েছে। বিভ্রান্তি থাকার কথা নয়।” তবে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, “যারা ফের পরীক্ষা দিতে চান, তাঁরা নির্দিষ্ট ৬টি সেন্টারে ফের পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরীক্ষার্থীরা উত্তর লেখার জন্য যথেষ্ট সময় পাননি এমন অভিযোগ উঠেছিল।”