দিনের পর দিন মহার্ঘ হচ্ছে রান্নার গ্যাস। পেট্রোপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এলপিজি-র দাম। এই অবস্থায় পড়েই নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের। রান্নাঘরের হেঁসেলে একপ্রকার আগুন লাগার ঘটনা। কিভাবে হবে রান্না, কিভাবে ভরবে পেট, কিভাবে বেঁচে থাকা যাবে? এই প্রশ্ন এখন মানুষের চোখেমুখে। কারণ একদিকে যখন অগ্নিমূল্য সবজির বাজার, অন্যদিকে গ্যাসের দামেও দেখা গেছে উর্ধমুখী প্রভাব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে লোকসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা কমেছে গ্যাসের দাম। তবে এবারের ভোটের ফলাফল কিছুটা চাপে রেখেছে বিজেপিকে। একাধিক সমস্যার সমাধান এখন করতেই হবে এনডিএ সরকারকে। তার মধ্যে অন্যতম হল প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমানোর ব্যবস্থা। আর এবার সেদিকেই গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। সম্প্রতি তিনি এমন একটি উপায় বলেছেন, যার মাধ্যমে কমানো সম্ভব রান্নার গ্যাসের দামও।
প্রাকৃতিক গ্যাসকে GST-র আওতায় আনা হলে সুবিধা
এর আগেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পেট্রোল ও ডিজেলকে GST-র আওতায় আনা এবং তার লাভের কথা বলেছিলেন। আর এবার এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। জানা গেছে, প্রাকৃতিক গ্যাস GST-র আওতায় এলে অনেক সুবিধা হবে। সেই সঙ্গে কমবে দামও। কারণ বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর রাজ্য ভ্যাট, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর, কেন্দ্রীয় আবগারির মতো কর আরোপ হয়। সেই কারণে দামের তারতম্য দেখা যায় দেশজুড়ে। তবে এটিকে GST-র আওতায় আনা হলে এইসব করে পরিমান কমবে। একইসঙ্গে সরকার লাভবান হবে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কিভাবে নির্ধারণ হয়?
রান্নার গ্যাসের দাম সবার আগে দাম ঠিক করে তেল কোম্পানি। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার তার ফাইনাল দাম নির্ধারণ করে। সেই দাম কিন্তু বাড়েনি মোটেও। কিন্তু যখন রাজ্য সরকারের কথা আসে, তখন কিছু রাজ্য সরকার তার উপর আরো কর আরোপ করে। এর ফলেই রাজ্যে রাজ্যে এর দাম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিছু রাজ্য সরকার রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের উপর কম কর আরোপ করে।