FASTag : করোনাকালীন সময়ে একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ ঘরবন্দি ছিলেন মানুষজন। একদিকে যেমন ছিল করোনা ছড়ানোর আতঙ্ক, অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাও ছিল চ্যালেঞ্জিং। তাই এই সময় ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই কাঁচা টাকা লেনদেন বন্ধ করেন। আর এর বিকল্প হিসেবে এই সময় থেকেই জনপ্রিয়তা লাভ করে UPI Payments-এর পন্থা। ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের ঝক্কি না সহ্য করে সহজেই UPI-এর মাধ্যমে টাকা লেনদেনের বিষয়টিকে যেন কয়েকমাসে আপন করে নেয় দেশবাসী। আর সেই কারণেই অল্প সময়ে UPI ব্যবহারকারীর সংখ্যাটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবর্তমানে পেট্রোল পাম্প থেকে সামান্য পানের দোকানেও রয়েছে UPI পেমেন্টের ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে যেমন পেমেন্ট করা যায় এই মাধ্যমে, তেমনই আবার QR Code স্ক্যান করেও দেওয়া যায় টাকা। এই প্রক্রিয়াটি ভীষণ সহজ এবং সুরক্ষিত একটি টাকা লেনদেনের পদ্ধতি। বলা যায়, বড় অঙ্কের নোট দিয়ে তা ফেরত যাওয়ার থেকেও কম সময়ে টাকা পাঠানো বা নেওয়া যায় UPI মাধ্যমে। আর এবার ফাসট্যাগ ব্যবস্থাতেও UPI চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক, যা নিঃসন্দেহে সব গাড়ি চালকদের জন্য বড় একটি আপডেট।
ফাসট্যাগ ব্যবস্থা কিভাবে কাজ করে?
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশজুড়ে এই ফাসট্যাগ ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক। ফাসট্যাগ হল গাড়ির ডিজিটাল তথ্যসম্বলিত ট্যাগ, যা রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তিতে কাজ করে। বিভিন্ন টোল প্লাজায় পরিবহন কর দেওয়ার সময় এটি কাজে লাগে। গাড়ির সামনের কাচে লাগানো একটি কার্ডের সাহায্যে দেওয়া যায় টোলের টাকা। কারণ এই ফাসট্যাগের সঙ্গে গ্রাহকদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা থাকে। যেখান থেকে কর বাবদ নির্দিষ্ট টাকা কেটে নেওয়া হয়।
ফাসট্যাগ ব্যবস্থায় UPI পেমেন্ট সিস্টেম
ফাসট্যাগ ব্যবস্থায় অনেকেই সেই অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলে রাখেন, যাতে কোনো টোল প্লাজা পেরোনোর সময় অটোমেটিক সেখান থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। তবে অনেকেরই অ্যাকাউন্টে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে টোল ট্যাক্স কাটার ক্ষেত্রে সময় দেখা যায়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে এবার ফাসট্যাগ কার্ডের সঙ্গে চালকের UPI আইডি যোগ করা থাকবে। এর ফলে তৎক্ষণাৎ সেলহানে থেকে অটোমেটিক পদ্ধতিতে টাকা কেটে নেওয়া হবে। এতে চালকদের হয়রানি অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক।