দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী পর রাম জন্মভূমি অযোধ্যার বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ভগবান শ্রী রাম। চলতি বছরের গত ২২ শে জানুয়ারি ভগবান রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে ভক্তদের ভক্তির সুনামি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এরপর ২৩ শে জানুয়ারি থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে গিয়েছে রাম মন্দিরের দরজা। অনেকেই রাম মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে। অনেকেই আবার ভিড় জমাচ্ছেন অযোধ্যায়। জানা গেছে, এখনো অবধি কোটি কোটি ভক্ত সমাগম ঘটেছে রাম মন্দিরে। এককথায় দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে নতুনভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অযোধ্যা নগরী।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাম মন্দির উদ্বোধনের বহু আগে মন্দির সম্পর্কিত বহু তথ্য শোনা গিয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মন্দিরের নির্মাণশৈলী। প্রাচীন ভবনার সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মিশেল ঘটিয়ে এই মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারণেই আগামী ১,০০০ বছরেও এই মন্দিরের অক্ষত থাকার দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু ১,০০০ বছর তো দূর, মন্দির উদ্বোধনের ৬ মাসের মধ্যেই রাম মন্দিরের নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর কারণটা রীতিমতো অবাক করছে আপামর ভারতবাসীকে।
উদ্বোধনের ৬ মাসেই রাম মন্দির নিয়ে নতুন বিতর্ক
দেশজুড়ে এখনো বর্ষাকাল সেভাবে শুরু হয়নি। তবে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে গোটা দেশে। এর মধ্যে উত্তর ভারতের অন্যতম রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। বাদ যায়নি রাম নগরী অযোধ্যাও। এর এই হালকা বৃষ্টির পরেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে চুঁইয়ে জল পড়ার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। রামলালা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত নিজে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে অল্প বৃষ্টি হলেই মন্দিরের গর্ভগৃহে জল পড়ছে। এদিকে গর্ভগৃহ থেকে জল নিকাশির কোনো ব্যবস্থাও নেই। তাই এভাবে জল পড়তে থাকলে বর্ষার বৃষ্টিতে পুজোর কাজে বড় সমস্যা হতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই পুরোহিত।
মন্দিরে জল পড়ার কারণে নিয়ে যা বলছে ইঞ্জিনিয়াররা
এখনো রাম মন্দিরের কাজ সম্পূর্ন হয়নি। তাই এখনো মন্দিরে ও এক ইঞ্জিনিয়ার নিযুক্ত রয়েছেন। এমন অবস্থায় এই জল পড়ার ঘটনা রীতিমতো অবসক করেছে সকলকে। ইতিমধ্যে, শ্রীরাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপারসন নৃপেন্দ্র মিশ্র এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে মন্দিরের প্রথম তলার ছাদ থেকে জল লিক করছে। তবে শীঘ্রই সেটি মেরামতি করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ন হয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটবে না।