Laxmir Bhandar : ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে ইস্তাহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পটি চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। রোজগারহীন দুঃস্থ মহিলাদের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা তুলে দেওয়া হয়। করোনাকালীন সময়ে এই অৰ্থিক সহায়তা মহিলাদের ব্যাপক উপকৃত করেছে। এককথায় রাজ্যের সব স্তরের মহিলারা রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে রীতিমতো খুশি। কারণ রাজ্যে এখনো এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানের মহিলারা স্বাবলম্বী তো দূর, আর্থিক স্বচ্ছলতার মধ্যেই আসেন না। তাই তাদের জন্য দারুন উপকারী প্রমাণিত হয়েছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ১,০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা মাসে ১,২০০ টাকা পেয়ে থাকেন। রাজ্যের যেকোনো মহিলার বয়স ২৫ বছর হলেই এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। ৬০ বছর পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরী করা মহিলারা এই সুবিধা পান না।’লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা দেশে এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সমাদৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত এই প্রকল্প। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা।
তবে এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে জল্পনা বাড়লো রাজ্যে। কারণ এবার সন্দেশখালির অনেক মহিলা দাবি করলেন যে তারা নাকি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। আর এই মিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির এক মহিলা অভিযোগ করেন যে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার সমেত সব সরকারি স্কিমের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্যের শাসক ফল তৃনমুলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং এটিকে মিথ্যা অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি এলাকার নাম উঠে এসেছিল সব সংবাদমাধ্যমের পাতায়। সেখানের বাহুবলী শেখ শাহজাহানের সব দুর্নীতিমূলক কাজকর্ম এবং সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচারের খবর সামনে এসেছিল। তারপর মহিলাদের সিমপ্যাথি সঙ্গে নিয়ে রেখা পাত্রকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও বেশ কিছু ভিডিওতে খেলা ঘুরে যায় শেষমেষ। আগামী ১ জুন সেখানে ভোটগ্রহণ। তার আগে ফের একবার চর্চায় সন্দেশখালি। চর্চার কেন্দ্র সেই মহিলারা। কিন্তু এই অভিযোগের প্রভাব কি ইভিএম-এ পড়বে? এর উত্তর মিলবে ৪ ঠা জুন।