Senior Citizen Card : কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে এখন চালু রয়েছে এমন কিছু স্কিম, যার মাধ্যমে পেনশন পাওয়া যায় অবসরকালীন জীবনে। সকলের জন্যই উপলব্ধ রয়েছে এইসব ভিন্ন ভিন্ন পেনশন স্কিম বা পেনশন পলিসি। সেখানে অবসরের আগে কিছু টাকা জমিয়ে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক সহায়তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন ভাতা চালু রয়েছে। তবে এখন এইসব সরকারি কাজ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। তার জন্য নানা কার্ড, ও ডকুমেন্ট দরকার পড়ে। তবে বয়স্কদের জন্য সব সমস্যার সমাধান করতে পারে একটি কার্ড। কি এই কার্ড? কিভাবে পাবেন এই কার্ড? তা এবার জেনে নিন।
সিনিয়র সিটিজেন কার্ড সম্পর্কে জানুন
আধার কার্ডের পাশাপাশি বর্তমানে দেশের বয়স্ক মানুষদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি হল সিনিয়র সিটিজেন কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে একজন বয়স্ক মানুষ অনেকভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন। ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের জন্য এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয়পত্র। এই কার্ড থাকলে বেশি বয়সে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের সুবিধা
● এই কার্ডের মাধ্যমে অনেক সরকারি ও বেসরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
● এই কার্ডে উল্লেখ করা থাকে কার্ড হোল্ডারের রক্তের গ্রুপ, জরুরি যোগাযোগের নম্বর, অ্যালার্জি, ওষুধের তথ্য
● আপদকালীন সময়ে এই কার্ডের মাধ্যমে বয়স্ক মানুষটিকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
● এই কার্ড একজন বয়স্ক মানুষকে ট্যাক্স সুবিধা, সস্তা বিমান টিকিট, সস্তা ট্রেনের টিকিট, কম টেলিফোন চার্জ এবং ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা প্রদান করে।
এই কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন পদ্ধতি
সিনিয়র সিটিজেন কার্ড করানোর জন্য অনলাইনে আপনাকে রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। কারণ রাজ্য সরকার এই কার্ড প্রদান করে থাকে। ওয়েবসাইটের হোম পেজে গিয়ে সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের অপহনে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তারপর সব তথ্য নির্ভুলভাবে টাইপ করে সেগুলিকে আরেকবার মিলিয়ে সাবমিট করতে হবে। আবেদনপত্র যাচাইয়ের পর এই কার্ড আপনি হাতে পাবেন কয়েকদিনের মধ্যেই।