Personal Loan : বাড়ি বানানো হোক কিংবা গাড়ি কেনা কিংবা উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়া- এইসব ক্ষেত্রেই একই সময় অনেকটা পরিমান টাকার দরকার পড়ে একসাথে। একইভাবে কোনো মেডিকেল ইমারজেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলেও হঠাৎ করেই অনেক টাকার দরকার পড়ে। কিন্তু সেই পরিমান টাকা সেই মুহূর্তে জোগাড় করে মধ্যবিত্তদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সময়ে টাকা না পেয়ে অনেকেই লোনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু এই লোন নিতে গেলেই নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মানুষজনকে। অনেকেই যেমন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তেমনই আবার অনেকে বিভিন্নরকম ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকেও লোনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কয়েকলক্ষ টাকার লোনের জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই লোনের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একনজরে দেখে নিন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক।
লোন দেওয়ার আগে কি কি যাচাই করতে হবে?
● একজন ব্যক্তির মাসিক রোজগারের উপর তার লোন পাওয়া নির্ভর করে। এক্ষেত্রে যাদের মাসিক রোজগার ৩০ হাজার টাকা বা তার বেশি, তারা সহজেই লোন পেয়ে যাবেন।
● লোন গৃহীতার বয়স অনেক সময় তার লোন পাওয়ার উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা সহজে লোন পেয়ে থাকেন।
● কাউকে লোন দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক বা লোন ডাটা কোম্পানি ওই গ্রাহকের সিবিল স্কোর যাচাই করেন। এই সিবিল স্কোর তার পূর্বতন লোন নেওয়া এবং তা পরিশোধের রেকর্ড থেকে তৈরি হয়।
লোন নেওয়ার আগে আপনি যেসব বিষয় দেখে নেবেন
● লোনের সুদের হার ও প্রসেসিং ফি যাচাই করুন। কারণ, লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার ও প্রসেসিং ফি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আবার লোনের প্রকারভেদেও এগুলি পরিবর্তিত হয়। তাই লোন নেওয়ার আগে দেখে নিন সেটির সুদের হার ও প্রসেসিং ফি কত।
● লোনের চুক্তিপত্রে কি কি শর্ত আছে তা যাচাই করুন। কারণ, অনেক সময় অনেক জালি লোন সংস্থার চুক্তিপত্রে এমন কিছু গোপন শর্ত থাকে, যার কারণে লোন পরিশোধ করতে তুমুল হয়রানি হতে হয় গ্রাহকদের।
● লোন নেওয়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করুন। যেকোনো ধরণের লোন নেওয়ার আগে সঠিক পরিকল্পনা করুন। তারপর কতদিনে শোধ করতে পারবেন, সেই অনুযায়ী লোনের কিস্তি নির্বাচন করুন। তারপর লোন নিন।
লোন শোধের পর যেসব বিষয় দেখে নেবেন
● যেকোনো লোনের ক্ষেত্রে কিস্তি শেষ হয়ে গেলেই লোন পরিশোধ হয়না অনেকসময়। তাই কিস্তি শেষ হলেই ব্যাঙ্কে গিয়ে লোনের বিষয়টি যাচাই করুন।
● লোন পরিশোধ হয়ে গেলে লোন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে হবে। এই কাজটি ব্যাঙ্কে গিয়েই করতে হবে।
● লোন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পর ব্যাঙ্ক থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে।