বাংলার বুকে এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর মাধ্যম কিন্তু একাধিক রয়েছে। শহরাঞ্চলে রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও শহর ও মফঃস্বল এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা। এছাড়াও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যক্তিগতভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌছনোর জন্য একটি ভালো বিকল্প। তবে এতে খরচ বেশি। তবে এই খরচের সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছে কিছু মোটর বাইক সংস্থা। কম খরচে বাইক বুক করে দ্রুত পৌঁছানো যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এককথায় এখন রাজ্যের বুকে কোটি কোটি গাড়ি চলে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে বাস বাকি সবকিছুর থেকে বাস পরিষেবা হল সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়। কিন্তু এই বাস পরিবহন ব্যবস্থায় ও এক সমস্যা দেখা দেয়। এখনো রাজ্যের বুকে অনেক রুটে পর্যাপ্ত বাস চলে না। চললেও বেসরকারি বাস চলে। এখনো জেলায় জেলায় আন্তঃ পরিবহন ব্যবস্থায় সরকারি বাস সেভাবে চলে না। তবে এবার বাস পরিবহন সমেত বাস ভাড়া নিয়ে বড় রায় দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।
এইসব নাগরিকদের জন্য বাস ভাড়া ‘ফ্রি’
সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ থেকে একটি নজিরবিহীন রায় দেওয়া হয়। আর এই রায়ে বাস ভাড়া ‘ফ্রি’ করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের পরিবহন দফতরকে। হাইকোর্টের এই রায়ে যাদের জন্য বাসের ভাড়া মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা হলেন সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে যারা বাসে যাতায়াত করবেন।
কেনো রোগীর সঙ্গীর বাস ভাড়া মুক্ত করা হল?
সিলিকোসিস হল একটি ফুসফুসের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগী ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই রাস্তাঘাটে বেরোতে হলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে বেরোতে হয়। সেই কারণে রোগী যখন চিকিৎসার জন্য বা চিকিৎসা সম্পর্কিত অন্য কোনো কাজে যান, তখন তার সঙ্গে একজনকে যাতায়াত করতে হয়। এবার রোগীর উপর যাতে আরেকজনের ভাড়ার বাড়তি বোঝা না চাপে, তাই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
এই ব্যবস্থা চালু করার সবথেকে বড় অসুবিধা
এই ব্যবস্থা রাজ্যে চালু করতে হবেই। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশ তো আর অমান্য করতে পারবে না পরিবহন দফতর। কিন্তু কিভাবে সিলিকোসিস রোগীদের চেনা যাবে? যদিও এর জন্য এই বিশেষ রোগে আক্রান্তদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তবে এখনো অবধি রাজ্যে এমন মাত্র ৭০ জন পরিচয়পত্র পেয়েছেন। যেখানে আদতে রোগীর সংখ্যাটা বহু। তাই এই ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে রোগীদের শনাক্তকরণ ও নথিকরণ হল সবথেকে উল্লেখযোগ্য দুটি কাজ।