এই বছর গ্রীষ্মে রেকর্ড গরম পড়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই চল্লিশ ডিগ্রির গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল তাপমাত্রা। আর সেই প্রভাব জারি ছিল বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য- এই দুই মাসেই। এমনকি শহর কলকাতায় গত ৪০ বছরের গরমের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল এই গ্রীষ্মে। কার্যত প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল রাজ্যবাসীর। তবে কয়েকদিন আগে রাজ্যের বুকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ও রেমাল ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। যে কারণে গত কয়েক সপ্তাহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দফায় দফায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই কারণে এবছর আগেভাগে গরমের ছুটি পড়েছিল রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা করেছিল যে ৬ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। ছুটি থাকবে ২ জুন অবধি। তবে তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় চরম তাপপ্রবাহ। এদিকে আবার শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন। তাই এবার আরো এগিয়ে আনা হয় গরমের ছুটি। গত ২২ এপ্রিল থেকে বন্ধ করা হয় রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল।
গরমের ছুটি শেষ, স্কুল খুলে গিয়েছে
ভোটের কারণে এবার গরমের ছুটি আরো দীর্ঘ হয়। তবে ছুটি শেষ হয়েছে গত ৩ জুন। শিক্ষক শিক্ষিকারা এইদিন থেকে স্কুলে এলেও ১০ জুন থেকে পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে যায়। রবে তারপরেও রাজ্যে গরমের দাপট থাকার কারণে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নগন্য হয়ে যায়। সেই কারণে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে মর্নিং স্কুল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের তরফে। যেসব এলাকায় বেশি গরম পড়ে, সেখানে এই মর্নিং স্কুল করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়। ছুটি বাড়ানোর দাবি উঠলেও পড়ুয়াদের পড়াশুনার কথা বিবেচনা করে ফের ছুটি দেওয়ার প্রস্তাবে আমল দেয়নি শিক্ষা দফতর।
রবিবার করাতে হবে অতিরিক্ত ক্লাস
অন্য বছর সাধারণত এতদিন গরমের ছুটি থাকেনা। আর এই ছুটির হিসেবেই পড়ুয়াদের সিলেবাস তৈরি করা হয়। তাই এই বছর এমনিতেই পড়ুয়াদের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সেই ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে এবার একটি বড় পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এমনিতেই স্কুলে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে স্কুল প্রধানদের। এবার শিক্ষা দফতরের তরফে পড়ুয়াদের জন্য রবিবার স্কুল খোলা রাখার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যদিও এরকম কোন অফিসিয়াল নির্দেশিকা এখনো সামনে আসেনি। তবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে শিক্ষা দফতর, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।