যেসব রোগের নাম শুনলেই মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সকলেই, তার মধ্যে অন্যতম হল বার্ড-ফ্লু। এটি হল এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা। ভাইরাসঘটিত এই রোগটি বন্য জলচর পাখিদের প্রাকৃতিকভাবেই সংক্রমিত করে এবং কখনও কখনও গৃহপালিত পশু-পাখিদেরকেও সংক্রমিত করতে পারে।এটি ইংরেজি ভাষাতে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাভিয়ান ফ্লু, বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি নামে পরিচিত। বিভিন্ন প্রকারের বার্ড-ফ্লু আছে, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক, যেটি প্রথম দেখা যায় ২০০৭ সালে। মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং এর থেকে মৃত্যু হওয়ার কারণে এই রোগকে নিয়ে আতঙ্ক বাড়তেই থাকে দিনের পর দিন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএইচ.পি.এ.আই-এর বহুল পরিচিত স্ট্রেইন H5N1 সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৯৯৬ সালে। সেই সময়ে চীনের কুয়াংতুং প্রদেশে একটি খামারের হাঁস থেকে প্রথম এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। তবে তখন এটি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়নি। মানুষের বার্ড-ফ্লু রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রথম দেখা যায় ১৯৯৭ সালে। আর তখন থেকেই এই রোগের নাম শুনলে মুরগি, হাঁস সহ যেকোনো পাখির মাংস ও ডিম খাওয়া নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। সম্প্রতি, তেমনই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। সেই নিয়ে বড় আপডেট আপনাদের জানাবো এই নিবন্ধের মাধ্যমে।
রাজ্যে বার্ড-ফ্লু আক্রান্তের খবর মিললো
সম্প্রতি, রাজ্যে একজনের বার্ড ফ্লু সংক্রমণের খবর ছড়িয়েছে। এই খবর এক্কেবারে সত্যি। কটন স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত ২২ শে মে এই খবরের সত্যতা যাচাই করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে কলকাতা ফিরেই এই সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে খবর। জানা গেছে, সর্দি, কাশি এবং পেট ব্যথা নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি প্রথম ওই শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।এর পর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ১ ফেব্রুয়ারি নাগাদ। তারপর ৩ মার্চ হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। এরপর গত ২৬ এপ্রিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে শিশুটির নমুনা পাঠানো হয়, তাতেই বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে।
এই অবস্থায় মুরগির মাংস ও ডিম খাওয়া কি নিরাপদ?
বার্ড-ফ্লু আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে উড়তে পাখিদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার মুরগি ও হাঁসের মাংস ও ডিম খাওয়া বন্ধ করছেন। আর এই বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে আক্রান্ত শিশু এখন ভালো রয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের অনেক জায়গায় পাখিদের উপর এই রোগের টেস্ট করা হয়েছে, যেখানে উদ্বেগজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তাই আপাতত মুরগি বা হাঁসের মাংস ও ডিম খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ।