Summer vacation : এবছর রাজ্যে রেকর্ড গরম পড়েছিল বৈশাখের শুরু থেকেই। বাংলার বুকে যেন দিন দিন তাপপ্রবাহের প্রভাব মারাত্মক হচ্ছিল দিনকয়েক আগে পর্যন্ত। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের গরম নাকি গত কয়েকবছরের গ্রীষ্মের দাপটকেও হার মানিয়েছে। কতদিন আগে এমন গরম সহ্য করেছে রাজ্যবাসী, তা কেউই মনে করতে পারছে না। কারণ, অন্য বছরের তুলনায় এবছর তাপপ্রবাহ হয়েছে বেশিদিন ধরে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআর এই প্রবল গরমে স্কুল পড়ুয়াদের দুর্ভোগ কমাতে আগেভাগে গরমের ছুটি পড়েছিল রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। নির্ধারিত ৬ মে থেকে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ার কথা ছিল। তবে তীব্র গরমের কারণে আরো এগিয়ে আনা হয় গরমের ছুটি। গত ২২ এপ্রিল থেকে বন্ধ রাখা হয় রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। ভোটের কারণে সেই ছুটি আরো দীর্ঘ হয়। তবে ছুটি শেষ হয়েছে গত ৩ জুন। শিক্ষক শিক্ষিকারা এইদিন থেকে স্কুলে এলেও ১০ জুন থেকে পড়ুয়াদের জবয় স্কুলের দরজা খুলে যায়। তবে এবার ফের গরমের বাড়বাড়ন্তর কারণে স্কুলে এসে গেল নতুন নির্দেশিকা।
ফের তাপপ্রবাহ শুরু, স্কুলে যেতেই নাজেহাল পড়ুয়ারা
গত কয়েকদিন ধরেই ফের গরমের প্রভাব শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবার গুমোট গরম পড়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। রবিবার থেকে আবার কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণে আবার গরমের ছুটি বাড়ানোর দাবি তুলছেন অভিভাবকদের একাংশ। এদিকে ১০ জুন থেকে স্কুল খুলে গেলেও স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক কম। মিডিয়া সূত্রে খবর, নতুনভাবে স্কুল খোলার পর সরকারি স্কুলগুলিতে ২৫ শতাংশের কম পড়ুয়া উপস্থিত হচ্ছে। যারা স্কুলে আসছে, গরমের কারণে তারাও রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছে সারাটা দিন।
স্কুলের সময়সীমা পাল্টানোর নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে স্কুলে স্কুলে
তবে পড়ুয়াদের দুর্ভোগ কমাতে এবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। তবে ফের ছুটি বাড়ানো হয়নি। বরং ক্লাস চালু রেখে এবার মর্নিং স্কুল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই। গরমের বৃদ্ধি দেখে স্কুলের সময়সীমা পাল্টাতে পারবেন স্কুলের প্রধানরা। অর্থাৎ, এবার থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে বেলা ১০.৩০ বা ১১টার বদলে সকাল ৭টা বা ৮টার দিকে ক্লাস করাতে পারবেন। সব সরকারি প্রাথমিক, উচ্চ-প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে এর ফলে মিড-ডে মিলের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই জানা গেছে।