শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অদূর অতীতে অনেক দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে এর মাঝেও শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। এসব কোর্স করেও অনেকে চাকরির আশায় বসে রয়েছেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅন্যদিকে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এর মাঝেই কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায় পুরো চাকরির প্যানেল। একইসঙ্গে চাকরি হারান রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। এই নিয়ে রাজ্যে শোরগোল পড়েছে ব্যাপকভাবে।
মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পরই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত মজুমদার
রবিবার রাইসিনা হিলসে দেশের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ডেপুটি হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদে আসীন হন। আর তারপরেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিগত কয়েক বছরে বাংলায় যেভাবে মামলাগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বাংলা তথা বাঙালির মান-সম্মান অনেকটাই নোংরা হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলবন্দি। উনি এবং আমি একইসঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি-তে এনরোল করেছিলাম। এটা খুব একটা গর্বের নয়।”
অবৈধ চাকুরীপ্রার্থীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার
টাকা দিয়ে, অবৈধভাবে যারা চাকরি পাচ্ছেন, তাদের প্রতি কড়া বার্তা পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “নিজেরা পরীক্ষা দিয়ে, নিজের যোগ্যতায় যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কষ্টটা বুঝতে পারি। কারণ একদিন আমি নিজেও SSC দিয়ে বছর খানেক একটি স্কুলে চাকরি করেছি। নিজেদের মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পাশে আমরা রয়েছি। তবে অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, আজ না হোক কাল, তাঁদের চাকরি তো যেতেই হবে।”