ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেসকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনাকে পেনশন যোজনা বলা হয়। তবে এখন সেই ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেই। কিন্তু এখন পেনশন ছাড়াও অনেক ধরণের নাগরিক অনেক ধরণের ভাতা পেয়ে থাকেন সরকারের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারও এমন অনেক ভাতা দিয়ে থাকেন রাজ্যবাসীকে। এই প্রতিবেদনে বয়স্ক মানুষদের এমনই এক ভাতা নিয়ে আলোচনা হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্যের বয়স্ক মানুষদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে বিগত কয়েকবছর ধরে উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এই ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটাতেই চালু করা হয় রাজ্য সরকারের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প। এই প্রকল্পে রাজ্যের বয়স্ক ও অসহায় মানুষদের ভাতা প্রদান করে থাকে রাজ্য। অর্থাৎ জীবনের যে পর্যায়ে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা অবহেলার পাত্র হন, তাদের আর্থিক স্বাবলম্বীতার লক্ষ্যেই এই ভাতা প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার।
যেসব মানুষ বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাবেন
● এই প্রকল্পে রাজ্যের যেকোনো নাগরিক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
● তবে তার জন্য আবেদনকারীকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
● আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ৬০ বছর। অর্থাৎ অবসরকালীন জীবনের আগে কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না।
● প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দিয়েছে সরকার। কেউ যদি প্রতিবন্ধী হন এবং তার বয়স যদি ৫৫ বছর হয়, তাহলে তিনি এই ভাতার জন্য আবেদনযোগ্য।
● আবেদনের পরেই সেইসব নাগরিক মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা পরই যাবেন।
এই প্রকল্পের জন্য আবেদনের পদ্ধতিসমূহ
● রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদন করা যাবে।
● এছাড়াও বিডিও অফিসে এই প্রকল্পে আবেদনের ফর্ম পাওয়া যাবে।
● দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েই রি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য।
বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্য যেসব নথি দরকার
● আধার কার্ড
● ভোটার কার্ড
● ডিজিটাল রেশন কার্ড
● প্যান কার্ড
● ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
● ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর নথি